প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক চিকিৎসা উপরে ভরসা করে এসেছে | সবথেকে বেশি কাজে লাগে প্রাকৃতিক চিকিৎসা | প্রাকৃতির এই সব উপাদান থেকে মানুষ বর্তমানে আধুনিক ঔষধ তৈরি করেছে | এই পোস্টটিতে আপনি জানতে পারবেন স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে | এছাড়াও আপনি জানতে পারবেন স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়, প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় , মুখ ফর্সা হওয়া উপায় , স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার 16 টি সহজ উপায় সম্পর্কে | যেগুলো আপনি আপনার বাড়িতে ট্রাই করতে পারবেন |
ইনসুলিন উৎপাদন – ইনসুলিন হরমোনের কাজ – শর্করার নিয়ন্ত্রণে হরমোনের ভূমিকা
এই পোস্টটিতে আমি ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বলবো , পাশাপাশি এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করব যাতে আপনি এই বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেন |
Table of Contents
রোদ এড়িয়ে চলুন
যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন | কারণ সূর্যের আলোতে রয়েছে আল্ট্রাভায়োলেট ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি | যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি সরাসরি পড়ে তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে | এছাড়া ওরে সঠিক ব্যাখ্যা হলো মানুষের শরীরে মেলানিন নামক এক ধরনের পদার্থ রয়েছে | যেখানে সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে এটি বিক্রিয়া করে আরো সক্রিয় হয় ফলে | ত্বক আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে |
এক্ষেত্রে আপনি ছাতা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন | তাহলে আপনার ত্বক কিছুটা হলেও রোদের ভিতর নিরাপদ থাকবে |
অতিরিক্ত রোদের সময় জল এবং বরফের কাছে না যাওয়া
জল এবং বরফে সাধারণত সূর্যের আলো বেশি প্রতিফলিত হয় | এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক থেকে আরও বেশি রকমের ভালো উপকার তবে পড়তে পারে | এ ক্ষেত্রে সচেতন হোন এবং এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন
তিল স্থায়ীভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
তিল সাধারণত একটি রবি শস্য | তিল এর বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে | আপনি তেল ব্যবহার করে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারেন | এক্ষেত্রে তিল গুড়ো করে নিন এবং এতে সামান্য জল মিশিয়ে ছেঁকে নিন | ছেঁকে নেওয়ার পরে আপনি একটি সাদা রঙের তরল পদার্থ পাবেন | সেটা মুখে লাগান | তাহলে আপনি খুব শিগগিরই ফর্সা হতে পারবেন |
বিশেষ করে কারো যদি রোদে অথবা আগুনে মুখের ত্বক পুড়ে থাকে তাহলে , আপনি বলে স্থানে এটি ব্যবহার করতে পারেন |
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় দই লাগানো
আপনার ত্বকের রং আরও ফর্সা করতে দই এর কোন বিকল্প নেই | ত্বকের রঙ ফর্সা করার জন্য আপনি দই লাগাতে পারেন |
হাড়ভাঙ্গা ও হাড় ভাঙ্গার প্রাথমিক চিকিৎসা
দই এর ভিতরে সাধারণত ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয় জাতকের জন্য অনেক উপকারী | এলেক্ট্রিক এসিডগুলো শরীরের জন্য এবং হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্যও অনেক বেশি উপকারী |
দুই লাগানোর পরে 15 থেকে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখুন | তারপরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন | এভাবে আপনাকে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন করতে হবে | যত বেশি করতে পারবেন ততোই উপকারিতা বেশি পাবেন |
দুধ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
ত্বক ফর্সা করার জন্য কি উপায় হচ্ছে দুধ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা দুধের ভিতর বিভিন্ন ধরনের এসিড যেগুলো টক কোমর এবং পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে |
প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়া হলুদ ব্যবহার করুন
প্রাচীনকাল থেকে হলুদের ব্যবহার করে আসছে | প্রাকৃতিক উপায়ে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য হলুদ এর কোন বিকল্প নেই | আপনার সারা গায়ের রং উজ্জল করতে হলুদের সাথে সামান্য বেসন মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন | স্নানের সময় সাবানের পরিবর্তে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন |
আলুর রস এবং কাঁচা দুধ ব্যবহার
আপনার দল যদি শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে আপনি দুই চা-চামচ আলুর রস এবং 2 চা চামচ কাঁচা দুধ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন পরবর্তীতে এটি ঠাণ্ডা করে ত্বকে ব্যবহার করুন | আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে এবং তখন একটা কোমল এবং পিচ্ছিল হবে যেটা অনেকটা আকর্ষণীয় হবে |
চন্দন এবং হলুদ ব্যবহার
শুষ্ক ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে চন্দন এবং হলুদএকসাথে ব্যবহার করতে পারেন | বর্তমানে বিভিন্ন সাবান রয়েছে যেগুলো চন্দন হলুদের একটি মিশ্রণ এর মাধ্যমে তৈরি করা হয় | এক্ষেত্রে আপনাকে প্রাকৃতিক ভাবে ব্যবহার করেন তাহলে আরো বেশি ভালো ফলাফল পাবেন |
জাফরান ব্যবহার
এক চিমটে জাফরান কাঁচা দুধে মিশিয়ে লাগিয়ে নিন | এটি আপনাকে নিয়মিত 15 দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে তাহলেই ভাল ফলাফল পাবেন |
মুগের ডাল ব্যবহার করুন
সাধারণত যাদের ত্বক তৈলাক্ত এবং কিছুটা কাল এসব ক্ষেত্রে মুগের ডাল ব্যবহার করতে পারেন | এক্ষেত্রে গুঁড়ো করে জলে মিশিয়ে রেখে দেন| পরবর্তীতে সপ্তাহে একদিন করে মুখের স্ক্রাব করুন |
মুগের ডাল ব্যবহারের কারণ হলো , প্রত্যেকটি কোষ প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণ করে | ফলে ওই কোষগুলোকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হয় | এটি সাধারণত দেহের বিভিন্ন এনজাইমের ফলে সরে যায় এক্ষেত্রে বেশি সময় লাগে | আপনি যদি এটি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে চান তাহলে মুগের ডাল ব্যবহার করুন |
স্থূলতা বৃদ্ধির ১২ টি কারণ, স্থূলতা প্রতিরোধের উপায়।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় কমলালেবুর খোসা ব্যবহার
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার সহজ উপায় এর ভিতর এই পদ্ধতিটি হয়েছে | তৈলাক্ত ত্বকের ফর্সা হওয়ার এটি একটি বিশেষ উপায়ে |এক্ষেত্রে 1 চা-চামচ কমলালেবুর খোসা শুকনো করে গরু করে নিন এবং 1 চা-চামচ মেথি গুঁড়ো করে দুটির একটি মিশ্রণ তৈরি করুন |
এগুলো আপনাকে যেকোন সময়ে ব্যবহার করতে পারেন যার ফলে আপনার ত্বকের মসৃণতা দূর হবে এবং আপনি স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারবেন |
পাকা কলা এবং শসা স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
স্থায়ীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার জন্য এই পদ্ধতিটি অন্যতম | আপনি এই ক্ষেত্রে কিছুটা পাকা কলা হাত দিয়ে চটকে নিন এবং এর সাথে শসার রস মেশান | এরপর মুখে লাগিয়ে প্রায় আধা ঘন্টার মত রাখতে হবে | পরবর্তীতে ঠান্ডা জল দিয়ে মুগ্ধ করতে হবে |
মসুরের ডালের গুঁড়ো ব্যবহার
প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনি মুশুরের ডালের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন | এক্ষেত্রে মসুরের ডাল গুড়ো করে প্রায় 24 ঘন্টা দুধে ভিজিয়ে রাখুন | এরপর মুখে লাগিয়ে রাখুন | 20 মিনিট পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন | তাহলে আপনার প্রাকৃতিক ভাবে এবং স্থায়ী পর্যায় ফর্সা হবে |
সরিষার তেল এবং বেসন ব্যবহার করুন
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য আপনি সরিষার তেল এবং বেসন ব্যবহার করতে পারেন | এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন সরিষার তেলে যেন খাঁটি সরিষার তেল হয় | বেসন এবং সরিষার তেল একসঙ্গে মিশিয়ে স্নানের আগে সারা গায়ে মেখে নিন | প্রায় আধা ঘণ্টা পর্যন্ত সারা গায়ে মাখিয়ে রাখুন | এবং স্নান করার সময় ধুয়ে ফেলুন | তাহলে একটি উজ্জ্বল ভাব তৈরি ফর্সা হতে সাহায্য করে |
মধু এবং লেবুর রস ব্যবহার স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
প্রাকৃতিক ভাবে স্থায়ী ফর্সা হোয়ার জন্য মধু এবং লেবুর রসের ব্যবহার করা যেতে পারে | এক্ষেত্রে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মুখে ভালো ভাবে লাগিয়ে নিন |
15 থেকে 20 মিনিট পর্যন্ত আপনাকে লাগিয়ে রাখতে হবে | মধু মূলত ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে | লেবু এর ভিতর সাইট্রিক এসিড রয়েছে তা আপনার ত্বককে আরও বেশি ফর্সা করতে সাহায্য করবে | ঘরোয়া উপায়ে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার সঠিক পদ্ধতি |
এই পোস্টটিতে আপনি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এই পদ্ধতি গুলো আপনি আপনার বাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন ফলে আপনার ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হব | এখানে আপনি মূলত 16 টি ফর্সা হওয়ারস্থায়ী পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন |
Go to Apps Download site
এই পদ্ধতিটি আপনিও শেয়ার করুন আপনার ফেসবুক অথবা হোয়াটসঅ্যাপ বা যেকোনো সোসিয়াল মিডিয়া যাতে আপনার আশেপাশের লোকজন স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে সচেতন হতে পারে | আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে আমাদেরকে জানান |